লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সেই আলোচিত হত্যার প্রধান আসামিকে পেইড সোর্স নিয়োগ করে ভারত থেকে বাংলাদেশে এনে গ্রেপ্তার করেছে পাট পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলীকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে।
৩০ জানুয়ারি বিকাল ৪ ঘটিকায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে প্রেস ব্রিফ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ২০ জানুয়ারি রাত ৯ ঘটিকার সময় নিজ বাসার সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু এবং আরও অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওয়াজেদ আলীর পথরোধ করে ধারালো ছুরি দিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে হত্যা করে। তারপর থেকে বাবু সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যায়।
ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে রিফাত হাসান বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার ঘটনার মূল রহস্য ও জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুর ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু আলমগীর ওরফে আব্দুল্লাহ (২৭) কে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে। তাকে ৩ দিনের রিমান্ড নিয়ে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসা বাদ করেন।এরপর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর দিক নির্দেশনায় দীর্ঘ ০৯ দিন ধরে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে ভারতের কুচবিহারে
আসামি বাবুর অবস্থান শনাক্ত করে।
তারপর পুলিশ কৌশলে পেইড সোর্স নিয়োগ করে ভারত কুচবিহার হতে আঙ্গুরপোতা হয়ে দহগ্রামে এল নিয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি পুলিশ টিম বাবুকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩০ জানুয়ারি দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। বিজ্ঞ জুটিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন আদালতে বাবু ১৬৪ জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন।
প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার অফিস ইনচার্জ ফারুক সহ বিভিন্ন ব্যক্তি বর্গরা উপস্থিত ছিলেন।