মোঃ শাকিল আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি:এমন জীবন তুমি করিবে গঠন, মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন”- মানুষ মরণশীল। কিন্তু মহৎ কিছু কর্ম সেই মরণশীল মানুষকে নশ্বর পৃথিবীতে অমরত্ব দেয়। কর্মেই মানুষ বেঁচে থাকে বলে মানবকুলের প্রতিটি মানবের বাসনায় লুকিয়ে থাকা একটি কাঙ্খিত স্বপ্ন হল কবির সেই প্রবাদবাক্যটির আদলে নিজের ছোট্ট জীবনটাকে গড়ে তোলা। কিন্তু ক’জনইবা পারেন এমন কাঙ্খিত জীবন গড়তে? কখনো ক্ষুদ্রাকার সাধ্য সাধের বিশালতাকে যেমন গ্রাস করে, তেমনি কখনো আবার সাধ্যের বিশালত্বেও স্বপ্ন সাধের অপমৃত্যু ঘটে মনের সংকীর্ণতার কারনে। কিছু মানুষ কদাচিৎ ব্যতিক্রম, যাদের সাধ ও সাধ্যের অপূর্ব সংমিশ্রণে হাজারো অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটে। যখন স্বার্থপর পৃথিবীর আত্মকেন্দ্রিক মানুষগুলো কেবল নিজেদের-ই নিয়েই ব্যস্ত থাকে, ঠিক তখন-ই পরোপকারী হাতেমতাই কিংবা দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসিনের আদলে গড়া এই সব মহান মানুষগুলোর আবির্ভাব ঘটে, যাদের জন্ম আর কর্ম-ই যেন কেবলি পরের তরে। তাঁদের সাধ-স্বপ্ন এবং সাধ্যটাও যেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ। এমন মহান মানুষদের-ই একজন দেশসেরা শিল্প প্রতিষ্ঠান ওয়াটা কেমিক্যালের কর্ণধার শিল্পপতি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম মন্ডল। যে নামটির সাথে জড়িয়ে আছে লক্ষ মানুষের বিশ্বাস, ভক্তি এবং ভালবাসা। জড়িয়ে আছে হাজারো অসহায় পরিবারে স্বপ্নের বীজ বুনে দেওয়ার একটি অতিমানবীয় গল্প। তিনি তার জন্মভূমি চৌহালী উপজেলা চর অঞ্চলের মানুষের জন্য এক আর্শীবাদের নাম আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম মন্ডল। ধর্মীয় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান অপরিসীম।
মহান এই মানুষটি যে সেক্টরেই হাত দিয়েছেন, সেই সেক্টরেই সফলতা পেয়েছেন। খুবই অল্পসময়ে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এই মানুষটি কখনোই নিজেকে আত্মকেন্দ্রিতায় আবদ্ধ করে রাখেননি। তিনি হয়তো হৃদয়াঙ্গম করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, সৃষ্টিকর্তা মানুষকে ধন দিয়ে মনের পরীক্ষা করেন। তাই হয়তো তিনি তাঁর অর্জিত সার্বিক সক্ষমতা দিয়ে মানুষের কল্যাণে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি দেশের শিল্প ও অর্থনৈতিকখাতে অবদানের পাশাপাশি ধর্মীয় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে বিবিধ মহৎ কর্মের মাধ্যমে নশ্বর এই পৃথিবীতে নিজেকে অমর করে রাখার সেই অতিমানবীয় গল্পের নায়ক হিসেবে প্রায়-ই প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। তিনি অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা এবং এসবে পর্যাপ্ত অনুদানের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি পৃষ্টপোষকতার মাধ্যমে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। অসংখ্য শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান করে দিয়ে সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্তি ও সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিকে মজবুত করণেও রেখেছেন যুগান্তকারী ভূমিকা। নিজ এলাকা চৌহালীর অগনিত ব্যক্তি এবং পরিবারের বিবিধ মৌলিক সমস্যা নিরসনে তাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরী এবং প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা করে সেই সব মানুষের কাছে হয়েছেন স্বপ্ন পূরণের এক মহানায়ক। কথিত আছে , তাঁর কাছ থেকে কেউ কখনো খালি হাতে ফিরেননি। তাইতো তিনি তাঁর নিজ এলাকা চৌহালীর প্রতিটি মানুষ এবং পরিবারের কাছে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার প্রতীক। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর এলাকার অসংখ্য নারীদেরকেও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে তাদেরকেও দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করে দেশের অর্থনৈকিত উন্নয়নে অবদান রাখতে সহযোগিতা করেছেন। তাছাড়া প্রায় শতাধিক অসহায় মানুষের বাসবাসের জন্য নিজ অর্থায়নে টিনসেট ঘর করে দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি দিয়েছেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে।
ইতিমধ্যেই ধর্মীয় পূণ্য কাজের একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন নিজ এলাকার কৃতি সন্তান বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরিম কে সংবর্ধনা দিয়ে।
তিনি যে একজন উঁচুমানের ধর্মপরায়ণ এবং পূণ্যের পুঁজারী সে ব্যাপারে একটি বাস্তব উদাহরন হল, তাঁর নিজ এলাকার মসজিদে রমজান মাস উপলক্ষে আইপিএসের ব্যবস্থা করেছেন। শীতার্ত মানুষের মাঝে এতো মধ্যে বিশ হাজার কম্বল দিয়ে হাসি ফুটেছেন অহায় মানুষের। দিয়েছেন ঈদ সামগ্রী। শুধু তাই নয় করোনা কালীন সময়ে প্রায় লক্ষ্যধীক মানুষের খাদ্য সহায়তা দিয়ে পাশে থেকেছেন জীবন ঝুঁকি নিয়ে এবং ব্যানার সময় অসংখ্য মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে পূণ্যের যে অনন্য কীর্তি স্থাপন করেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। আমি নিশ্চিত, এমন মানবিক মানুষ পাওয়া দুষ্কর।