হাফিজুর রহমান শাহীন কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে ধরা পড়েছে ২ রোহিঙ্গা তরুণী।পাসপোর্ট অফিসের কাউন্টারে কাগজপত্র জমা দেয়ার সময় তাদের দেখে সন্দেহ হলে কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ সহকারী পরিচালক কবির হোসেন তাদের দুজনকে আটক করে সদর থানা পুলিশে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা নাগরিক তারা পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে এসেছিল বলে স্বীকার করে। সদর থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সদর থানা পুলিশ জানান, আটককৃতরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বালুখালি-১ এর ডি-ব্লকের খুরশিদা আক্তার (১৯)পিতা- সৈয়দ আহম্মদ এবং মাতা সৈয়দা খাতুন,অপরজন ২৭ নং ক্যাম্পের ব্লক-৯ এর হাসিনা আক্তার বেবি (১৮) পিতা-তৈয়ব আলী এবং মাতা আরফা বেগম। সৌদিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে তারা উভয়ে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট করার জন্য এসেছিল। তবে কুড়িগ্রামে কাদের সহযোগিতায় তারা ভুয়া পাসপোর্ট তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছিল, তা এখনো জানা যায়নি।
পুলিশের হেফাজতে থাকা আটককৃত দুই রোহিঙ্গা তরুণীর বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার জানান, আটককৃত ২ রোহিঙ্গা তরুণীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক কবির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, হাসিনা আকতার কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া বালিয়ামারী গ্রামের পিতা- আজিজুল হক, মাতা- নুরনেসা বেগম। খুরশিদা আকতার ওরফে আদিজা আক্তার চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউনিয়ার চর গ্রামের পিতা- ফয়জার শেখ, মাতা-রাবেয়া খাতুন নামসহ জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসে। এ সময় তাদের সাথে কথা বলে মনে হয় তারা রোহিঙ্গা। পরে তাদেরকে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।