সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ,কুষ্টিয়া:আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিতে,নেই কোন তৎপরতা এবং একেরপর এক বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে কলুষিত হচ্ছে জেলা ছাত্রদল,এছাড়াও নেশায় ডুবছে একাধিক ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এমনই তথ্য জানালেন বিএনপির বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ জুড়ে বিএনপির দেওয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের কোনধরনের চোখধাঁধানো পদক্ষেপ গণমাধ্যমের ক্যামেরাতেও উঠে আসেনি। কোন তৎপরতা না থাকলেও বেশ কয়েকজন বিএনপি’র স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন না করে ব্যক্তিসার্থ হাসিল করাই যেনো মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য হয়ে দাড়িয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ফটোশেসনের মধ্যে দিয়ে নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।এছাড়াও বর্তমান জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিভিন্ন নেতা কর্মীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে,এমনকি এই নিশাত একজন বিবাহিত যুবক হয়েও ছাত্রদলের নেতা হিসেবে নিজ পদে বহাল তবিয়তে দিনযাপন করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীরা বলেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব খন্দকার নিশাত প্রচুর অর্থের বিনিময়ে কুষ্টিয়া জেলার অধিকাংশ পৌর ও উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি দিয়ে আসছে। যাদের মধ্যে নেই কোন নিয়মিত ছাত্র,অধিকাংশ বিবাহিত ও বয়স্ক যুবক। এদিকে জেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব খন্দকার নিশাতের মাদক সেবন ও অস্ত্র সহ গ্রেফতার হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতারা। খন্দকার নিশাতের ব্যাপারে খোজ নিতে গেলে জেলার শীর্ষ বিএনপির নেতা রাগীব রউফ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ কেউই নিশাত সহ এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত কারো দায়িত্ব নিতে চান না। এছাড়াও দায়িত্বশীল নেতারা ছাত্রদল নিয়ে খুবই হতাশা জানিয়ে বলেছেন নিশাত এর বাবা টিপু সুলতান মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাবু খাঁ খুনের আসামি এবং সে অস্ত্র মামলারও আসামি,সরজমিনে পর্যবেক্ষণে উঠে আসে বাপ আর ছেলে কে নিয়ে কুষ্টিয়া বিএনপি খুবই বিব্রত অবস্থায় আছে। অচিরেই এই সমস্ত কর্মকান্ড নিয়ে দলীয় ভাবে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবী জানান কুষ্টিয়া জেলার সর্বস্তরের বিএনপির নেতাকর্মী কর্মী বৃন্দ।