হাসপাতাল থেকে সরকারী ঔষধ পাচারের
সময় ব্যাগ সহ এক নারী আটক
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ঔষধ পাচারের সময় এক নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ ঘটনায় হাসপাতাল এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ (১৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহেদা (৩৫) নামের ঐ নারী একটি ট্রাভেল ব্যাগ ভর্তি করে পেলটকস-২ ও পেনটিড মেগাপিল এর ৩শ ৭০টি ইনজেকশন নিয়ে হাসপাতাল থেকে যাচ্ছিল । তার আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তার ব্যাগ চ্যালেঞ্জ করে এবং খুলে ইনজেকশন দেখতে পায়। এরপর স্থানীয় জনতা ঐ নারীকে আটক করে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ভিতর পুলিশ বক্সে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকার ও সদর থানার এসআই মিন্টু পুলিশবক্সে আসেন।
পুলিশ বক্সের সামনে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক নারী শাহেদা জানান, “আমি হাসপাতালে এসেছি। হাসপাতালের একজন আয়া আমাকে এ ব্যাগটি দিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বলে। আমি ব্যাগটি নিয়ে হাসপাতালের বাইরে আসলে লোকজন আমাকে আটক করে। এসময় তার নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান ঐ নারী।”
অনুসন্ধানে জানা যায়, আটক শাহেদা সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামের ফজল উদ্দিনের স্ত্রী। জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার মমিনুল ইসলামের সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি জানান,”আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারবো না। এ বিষয়ে তত্বাবধায়ক স্যারের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।”
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: শহিদুল্লাহ্ লিংকন জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকারকে বাদী করে ঐ নারীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি । তাৎক্ষণিক কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো কিছু বলতে রাজি হননি।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি ওষুধ পাচারকারী সিন্ডিকেট হাসপাতালটিতে সক্রিয় রয়েছে। এ চক্রের সাথে হাসপাতালের অনেকে জড়িত রয়েছে বলেও ধারনা করা হচ্ছে। যা সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, আটককৃত নারীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply