এম জালাল উদ্দীন। জেলা প্রতিনিধি খুলনা।
খুলনার পাইকগাছা’সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একের পর এক অবিরতভাবে অসহায় প্রতিবন্ধীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে চেয়ারম্যান তুহিন। মানব সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা যেনো চেয়ারম্যান তুহিন এর দৈনন্দিন নেশা ও পেশায় পরিনত হয়েছে। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধী কল্যান ট্রাস্ট পরিচালনার পাশাপাশি নিজের উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় প্রতিবন্ধীদের নানান ধরনের সেবা করে চলেছেন। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান তুহিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন, এছাড়া তিনি বিভিন্ন প্রতিবন্ধীদের কাছে যেনো তাদের একমাত্র অভিভাবক ও ভরসাস্থলের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। জানা যায় চেয়ারম্যান তুহিন প্রতিবন্ধীদের সেবাদানে নিজস্ব লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তাদের মুখে একটু হাসি ও স্বাবলম্বী করতে দীর্ঘদিন ধরে সেচ্ছায় সেবাদানের লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করে উক্ত মহৎ কাজটি করে চলেছেন।
তাহারই ধারাবাহিকতায় পাইকগাছা উপজেলার গড়ুইখালী ইউনিয়নের উত্তর বাইনবাড়িয়ার পিতা মাতা হারা অনাথ প্রতিবন্ধী উৎপল বৈরাগী’কে দীর্ঘদিন ধরে জীবন পরিচালনায় নানান ধরনের সেবা করে যাচ্ছেন। জানা গেছে প্রতিবন্ধী উৎপল বৈরাগী একটি আলোহীন অন্ধকার ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করতেন, চেয়ারম্যান তুহিন ঘরটিতে একটি সোলারের ব্যবস্থা করে দেন এবং বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী উৎপল এর সুখ অসুখের খবরাখবর জানানোর জন্য মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছেন। ফলে প্রতিবন্ধী উৎপল এর কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে সাথে সাথে চেয়ারম্যান তুহিন এর কাছে ফোন করে যেটির আবদার করেন, আবদারগুলোর যথেষ্ট মূল্যয়ন করে চেয়ারম্যান তুহিন ছুটে যান উৎপলের কাছে। ঠিক তেমনি রবিবার জামাকাপড়’সহ জীবন পরিচালনার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে ছুটে যান তিনি পাশাপাশি প্রতিবন্ধী উৎপল এর বিভিন্ন প্রয়োজনের সার্থে নগদ অর্থ প্রদান করেন চেয়ারম্যান তুহিন। এসময়ে পিতা মাতা হারা অনাথ প্রতিবন্ধী উৎপল তার একমাত্র অভিভাবক চেয়ারম্যান তুহিন’কে জড়িয়ে ধরে আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার এবং কান্না বিজড়িত দোয়া করেন।
উল্লেখ্য প্রায় ১৫০ জনেরও অধিক প্রতিবন্ধীদের নিয়মিত সেবা দিয়ে চলেছেন চেয়ারম্যান তুহিন এবং তিনি উক্ত মহৎ কাজটি আমৃত্যু করে যাবেন বলে এ প্রতিনিধির কাছে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।