মোঃ রাসেল হোসেন, বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
হাজী মোঃ মহসিন হকার্স মার্কেট ও বহুমুখি সিটি মার্কেট যা বরিশালের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এ মার্কেটের সিংহভাগ ক্রেতা নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে সকল পেশাদারী ব্যাক্তিদের জীবনের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হলো: বস্ত্র।
তার জন্যই বস্ত্র ক্রয়ের জন্য কিনাকাটা করে থাকে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং) নগরীর হাজী মোঃ মহসিন হকার্স মার্কেট ও বহুমুখী সিটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায় নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত একেবারে লোক সমাগম কম, ক্রেতা শূন্য দেখা গিয়েছে। আমরা বহুমূখী সিটি মার্কেটের এক ব্যাবসায়ী ওয়ান পয়েন্ট ফ্যাশন হাউজ দোকানের জনাব, মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর কাছে বর্তমানের দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে তার ব্যাবসার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাবসার পরিস্থিতি একেবারে খারাপের দিকে সকল জিনিসের মূল্য পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি মূল্যে আমাদের কিনতে হয়। এখন মার্কেটে লোক সমাগম কম হয় কারন, সকল দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র একেবারে কম কিনছে ক্রেতারা মার্কেটের প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের নজর কাড়তে ডলগুলোর গায়ে পরিয়ে রাখা হয়েছে বাহারি রঙ ও ডিজাইনের জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, কাতুয়া ও পাঞ্জাবি। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ছাড়া ক্রেতা সমাগম একেবারেই নাই বলেই চলে।
তিনি আরো জানান, তার দোকানে ৫০০ টাকা থেকে শুরু ১২৫০ টাকা পর্যন্ত জিন্স প্যান্ট বিক্রি হয়। গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি প্রকারভেদে ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে এক১৯০ টাকা পর্যন্ত শার্ট ও ৪০০ টাকা থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা দামের গেঞ্জি রয়েছে তার দোকানে। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দোকানের তুলনায় তার দোকানে শার্ট প্যান্টের দাম কম রাখছে কিন্তু তারপড়েও ক্রেতা শূন্যতার কারনে বিক্রি হচ্ছে না।
মহসিন মার্কেটে পোশাক কিনতে আসা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজের ছাত্র মোঃ জিহাদ বলেন,
এই মার্কেট থেকে আমরা শার্ট প্যান্ট কিনে থাকি এখানের দোকানগুলোতে দরদাম করেও টাকা কম দেওয়া যায়। তার দাবি, এই সব দোকানে যেসব পন্য সামগ্রি পাওয়া যায় তা বড় বড় ব্রান্ডের শপগুলোতেও একই জিনিস পাওয়া যায়,
কিন্তু তুলনামূলক কম বেশি মূল্যে কিনা যায়। কিন্তু বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি থাকাতে নতুন পোশাক কিনতে সাধারণ মানুষের সময্যা হচ্ছে তাই মার্কেটে আহামরি কোন ক্রেতা নাই।
এদিকে বরিশালের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সকাল থেকে গভীর রাত অবধি ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকতো এই সকল মার্কেট গুলো তা এখন ক্রেতার খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না এই ভাবে চলতে থাকলে তাদের ব্যাবসা টিকিয়ে রাখা খুবিই দুষ্কর হবে বলে আমাদের জানায়। তবে দ্রব্যমূল্যের দাম কমলে দেখা যাবে আগের মতো ক্রেতাদের তা ধারণা করা যায়।
সকল সাধারণ মানুষ ও ক্রেতাদের একটাই দাবি দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তা যেন আর না হয়, পূর্বের ন্যায় যেন পন্যের মূল্য আবার ফিরে আসে এটা সকলের প্রানের দাবি।