গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এটি গড়ে তুলেছিলেন আজ থেকে পয়ত্রিশ বছর আগে সেই সময়ের কিছু যুবক। তাদের অনেকেই আজ বেচেনেই।সাদেক ভাই,সন্তুদা, এরফান মাস্টার,ফতিন কাজি,আরো অনেকেই।তাদের রেখে যাওয়া এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অজস্র নিম্ন বৃত্তর মানুষ নামমাত্র মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেতেন। কিন্তু মহা-সড়কের সম্প্রসারণের কাজে এ প্রতিষ্ঠানটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভালো কথা রাষ্ট্র প্রয়োজনে তা করতেই পারে, কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি চরমভাবে বাণিজ্যিক একটি প্রতিষ্ঠান হইলেও তারা বাণিজ্যিক মূল্য না পেয়ে শুধুমাত্র একটি ঘরের মূল্য (আবাসিক ) । আশ্চর্য লাগে এই প্রতিষ্ঠানটির বিল্ডিং এর অনুমোদন আছে, আছে বাণিজ্যিক লাইসেন্স, আছে চিকিৎসা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পত্র।কিন্তু যে কোন কারনেই হোক এটিকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয় নাই। ক্ষতিপূরণের যে সামান্য অর্থ পাওয়া যাবে তা দিয়ে কোনক্রমে আর একটি চক্ষু হাসপাতাল নির্মাণ করা কোন ক্রমেই সম্ভব হবে না। এর ফলে নিভে যাবে এই অঞ্চলের মানুষগুলোর অল্প টাকায় চিকিৎসার সুযোগ। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট অনুরোধ করবো ক্ষতিপূরণের ন্যায্য মূল্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটিকে জীবিত রাখুন। নিশ্চিত করুন নিম্ন আয়ের অজস্র মানুষের চক্ষু চিকিৎসা সেবার সুযোগ।