মোঃ রাসেল হোসেন, ভোলা জেলা প্রতিনিধি:
বরিশালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গাছ লাগানো কর্মসূচি করলো, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষা করা, জলবায়ুর অভিঘাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এটা আমাদের কর্তব্য হিসেবে এই কর্মসূচি করলো, জনসংখ্যার অধিক চাপে ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি।
হরদম কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ নিয়ম-নীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। ব্যাপক হারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।সবুজ শ্যামল এ দেশটা আগের মতো নেই। যেসব গুণের কারণে আমাদের এ দেশকে সবুজ-শ্যামল বলা হতো তা হল চারদিকে ঘন গাছপালা আর সবুজের সমারোহ। এখন সেই সবুজ-শ্যামল রূপ খুব কমই চোখে পড়ে। গাছপালা ও ফসলি জমি ধ্বংসের কারণে পাখপাখালিও আগের মতো দেখা যায় না। গাছপালা কাটার ফলে পাখিদের আশ্রয়স্থল কমে যাচ্ছে। হরদম গাছপালা কাটা হলে পাখিদের বংশবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।ফসলি জমি ও গাছপালা বিনষ্ট করে দালানকোঠা নির্মাণ করার ফলে একসময় দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। তাছাড়া এভাবে গাছপালা কমতে থাকলে মানুষ অক্সিজেনের অভাবে ভুগবে। বিশুদ্ধ বাতাসের অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধবে। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর ফলে গাছপালা কাটা বন্ধ হবে, দেশ আবার সত্যিকার রূপে সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠবে।
তাহারিই ধারাবাহিকতায় পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়ার লক্ষ্যে একটি সেচ্ছামূল সংগঠন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি, বরিশাল জেলা শাখা এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করেন তারা।
এ ভালো একটি উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ তাদেরকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তুলেছে।ওই সময় সংগঠটির বিভাগীয় সমন্বয়ক, সৈয়দ ইয়াসিন আরাফাত বলেন,আমারা আজ বৃক্ষরোপণ শুরু করলাম। আমি সবাইকে আহ্বান করছি যার যার বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় আছে সেখানে গাছ লাগাবেন।
তিনি আরও বলেন, গাছ লাগানো অনেক সহজ, কিন্তু গাছ বাঁচানো অনেক কঠিন। গাছ লালন-পালন করাও অনেক কঠিন। তাই গাছকে আমরা লালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ওই সময় উক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যারা উপস্থিত ছিলেন,
সৈয়দ ইয়াসিন আরাফাত-বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক,
আব্দুল কায়ুইম বাইজীদ-বরিশাল বিভাগীয় সহ সমন্বয়ক,
জিয়াউর রহমান মাসুদ-বরিশাল জেলা সমন্বয়ক,
কনা-বরিশাল জেলা সহ সমন্বয়ক,
রাইয়ান-বরিশাল জেলা অর্থ বিষয়ক সমন্বয়ক,
রাহাত-বরিশাল জেলা তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সমন্বয়ক,
আব্দুল্লাহ-বরিশাল জেলা যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বক।
সদস্য,
মেহেদি হাসান,
আমিনউল্লাহ,
আতিকউল্লাহ, এবং আরো অন্যান্য ব্যক্তিগণ এবং স্থানীয়রা তাদেরকে উৎসাহ মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন।