রাকিব চৌধুরী,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে শারীরিক লাঞ্ছনা করার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুরে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর মৃত্যু ঘটলে এই ঘটনা ঘটে।জানা যায়, আজ সকাল ৭ টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শরীরে ভীষণ তাপমাত্রা নিয়ে জায়েদ মুন্সী (১৭) নামে এক রোগী জরুরী বিভাগে আসলে তাকে ভর্তি করেন চিকিৎসক। আজ দুপুরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গোপলগঞ্জ অথবা খুলনাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর পরামর্শ দিলে রোগীর স্বজন তাকে এখানে রাখার সিদ্ধান্ত নিলে আজ দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে রোগী জায়েদ মুন্সী মারা যায়। জায়েদ মুন্সী উপজেলার গিমাডাঙ্গা পুর্বপাড়ার সালাউদ্দিন মুন্সীর ছেলে।
এঘটনায় রোগীর সাথে আসা তার পিতা সালাউদ্দিন মুন্সী তার ছেলের প্রতি ভুল চিকিৎসা হয়েছে মর্মে তার স্বজনদের মোবাইল ফোনে খবর দিলে পিতা সালাউদ্দিন মুন্সীর নেতৃত্বে ১০/১৫ জন রোগীর ডেড সার্টিফিকেট লিখতে থাকা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক অফিসার (আরএমও)ডা: কমলেশ বাকচীর উপর অতর্কিত হামলা করে।এতে ডা: কমলেশ গুরুতর আহত হন।তাকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ডা: কমলেশ বাকচীর পিতা কুমুদ বাকচী টুঙ্গিপাড়ার সরকারী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক।মৃত জায়েদ মুন্সীর স্বজনরা জানান, ডা: চিকিৎসা দিতে দেরি করায় রোগীর মৃত হয়েছে। রক্ত পরিক্ষার জন্য ২ ঘন্টা পার করেও রক্ত নিতে পারেনি। অবহেলার জন্য আজ রোগীর মৃত্যু হলো।
এদিকে মৃত জায়েদকে দাফন করার জন্য তার বাড়ীতে নেওয়া হলে স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।এ ঘটনার পর ডা: কমলেশের পিতা স্কুল শিক্ষক কুমুদ বাকচী ও তার মাতা তার পাশে রয়েছেন।ডা: কমলেশ বাকচীর পিতা স্কুল শিক্ষক কুমুদ বাকচী বলেন, আমি একজন শিক্ষক এ এলাকাতে অনেকেই আমার ছাত্র যারা এখন টুঙ্গিপাড়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে।আজ আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছে। আমি এঘটনার সুবিচার দাবী করছি।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জসিম উদ্দিন বলেন,ঘটনাটি দু:খজনক। এই বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে, এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত দিলে করনীয় ঠিক করা হবে।