মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ টেকনাফ প্রতিনিধি:কক্সবাজার টেকনাফে আউশ ধানের চাষাবাদ বাড়াতে সরকারের কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১ হাজার কৃষককে বীজ,সার এবং রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ভর্তুকি দিয়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধান রোপন করা হয়েছে।
২০মে সকালে উপজেলার হ্নীলা পানখালীর ধান চাষী শহিদুল্লাহর মাঠে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ধান রোপন কাজের উদ্বোধন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার জাকিরুল ইসলাম,উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার এসএম শাহজাহান,উপসহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম,মোঃ আনোয়ার হোসেন।
এসময় কৃষক ও স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। লোকজনকে বলতে শোনা যায়,আমরা যা টিভিতে দেখছি তা এখন বাস্তবেই এসে গেল।কৃষক শহিদুল্লাহ বলেন, এখন শ্রমিক সংকটের কারণে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কৃষকদের জন্য আবিস্কৃত যুগান্তরকারী যন্ত্র। সরকার চাষী জমিকে ৩ ফসলা জমিতে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়ে চাষাবাদে ফসলাদি উৎপাদনে বিশাল ভর্তুকির মাধ্রমে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে দরিদ্র কৃষকদের পাশে থাকায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম জানান,এই বছর সরকার আউশ ধান চাষকে উৎসাহিত করার জন্য চলতি বছর প্রনোদনার মাধ্যমে উপজেলার ১হাজার কৃষককে ৫কেজি করে বীজ ধান, ১০কেজি এমওপি সার, ১০কেজি ডিএপি সার দেওয়া হয়। খামার যান্ত্রিকীকরনে সরকার ৭০% ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে। হ্নীলা পানখালীর শহিদুল্লাহ এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনা বাজার টেকের নুরুল আমিনের পুত্র আলী আহমদকে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার সরবরাহ করা হয়েছে। অন্য কোন কৃষক চাইলে এই ভর্তুকি সুবিধা নিয়ে সরকার থেকে রাইস ট্রান্স প্লান্টার নিতে পারেন। এরফলে স্থানীয় কৃষকেরা শ্রমিক সংকট দূর করে এই যন্ত্রের মাধ্যমে সহজে চাষাবাদ করতে পারবেন।
মূলত ধান উৎপাদনের কৃষি জমিকে ৩ফসলা জমিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে এবং আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধি করে এরং কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কৃষকগণকে উদ্ব্যুদ্ধ করার জন্য রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে আউশ ধান রোপন করা হয়। শ্রমিক সংকটের অভাব পুরণের জন্য যান্ত্রিকীকরন গুরুত্বপূর্ণ। আউশ ধান আবাদের মাধ্যমে জমি তিন ফসলে আওতায় আসবে। হ্নীলা ইউনিয়নে অতীতে আউশ আবাদ হয় নাই। আউশ আবাদের মাধ্যমে খাদ্যের চাহিদা পুরন হবে এবং কৃষক লাভবান হবে। তাই কৃষকদের প্রতি সরকারের এই মহৎ উদ্যোগ বলে দাবী করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাকিরুল ইসলাম জানান,সরকার দেশে খাদ্য উৎপাদন করে স্বয়ং সম্পূর্ণতা বাড়াতে কৃষকদের সর্বদা সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছে। আশাকরি কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে এই সহায়তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।