শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

দ্বীপজেলা ভোলার বিখ্যাত খাবার মহিষের দুধের টক দই যার রয়েছে ২০০ বছরের ঐতিহ্য

রিপোর্টার নাম:
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ১১৬ বার পঠিত:

 

মোঃ রাসেল হোসেন, ভোলা জেলা প্রতিনিধি:

দ্বীপজেলা ভোলার বিখ্যাত খাবার মহিষের দুধের টক দই যার রয়েছে ২০০ বছরের ঐতিহ্য ভোলা জেলার তেমনই একটি বিখ্যাত খাবার মহিষের দুধের টক দই। যা এই জেলাকে উপস্থাপন করেছে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও।

ভোলার টক দইয়ের নাম জানা নেই এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কাছেই প্রিয় এই দই। ভোলায় পারিবারিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক যেকোনো অনুষ্ঠানে দই থাকবে না এমনটা হতেই পারে না। ছোট, বড় যেকোনো অনুষ্ঠানে এ খাবার প্রেরন করতেই হবে। স্থানীয়রা খাবারের শেষে ভাতের সঙ্গে দই খায়। তবে নানাভাবে খাওয়া যায় এই দই। নাস্তা হিসেবেও দই খাওয়া যায়।

দই চিড়ার সঙ্গে হালকা মুড়ি ও চিনি মিশিয়ে মজা করে খাওয়া যায়। গরমের মৌসুমে দইয়ের সঙ্গে হালকা পানি ও চিনি মিশিয়ে ঘোল তৈরি করা হয়। এ ঘোল গরমের দিনে মানব দেহকে ঠাণ্ডা রাখে।

শুধু স্বাদেই দই সীমাবদ্ধ নয়। এই দইয়ে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণ। হজমে সহায়তা করে দই। স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দইয়ে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিনসহ অন্যান্য উপদান রয়েছে, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারি।

বহু বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক দইয়ের কারিগর সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, আসলে এ দই তৈরিতে তেমন কোনো কেরামতি নেই। এটা কঠিন কোনো বিষয় না। একটু খেয়াল করলেই দই তৈরি করা সম্ভব। তিনি মুহূর্তেই বর্ণনা দিলেন।

প্রথমে একটি মাটির পাত্র (টালি) পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর দুধগুলোকে ভালোভাবে ছেকে মাটির পাত্রে স্থির জায়গায় রেখে দিলে হয়ে যাবে মুখরোচক টক দই। গরমের দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা এবং শীতের দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে দই তৈরিতে।

এই দই দ্বীপজেলার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত মহিষের দুধের কাঁচা দই। এটা ভোলার প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলছে এই দই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2022  A2zbarta.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com