লিটন সরকার, (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র,জিঞ্জিরাম, হলহলিয়া ও ধরনি নদীর সাতটি স্থানে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ চলমান ও কাজের সম্ভ্যাব্যতা সমীক্ষা পরিদর্শন করলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি। রবিবার ২১ মে বিকাল ৩ টায় মেঘনা গ্রুপের একটি হেলিকপ্টার যোগে রৌমারী সিজি জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন।
চিলমারী, রাজিবপুর উপজেলা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা পরিষদ রৌমারী ডাকবালোয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানকার নদী ভাঙন রোধে ৪শত ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে, যার কাজ চলমান। তিনি আরও বলেন,নদী ভাঙ্গন রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয় এটা প্রাকৃতিক সমস্যা। যাতে করে নদী তীর শাসন করে নির্দিষ্ঠ একটা চ্যালেন তৈরী করে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার রৌমারী,রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র,জিঞ্জিরাম, হলহলিয়া ও ধরনি নদীর সাতটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিস্কাশন এবং নদীর তীর সংরক্ষনে বেসিন ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজের সম্ভ্যাব্যতা সমীক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের উপর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) নুর আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক পশ্চিম রিজিয়ন বাপাউবো ঢাকা রমজান আলী প্রামানিক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সারোয়ার রাব্বী, রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রূপ কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রৌমারী উপজেলা শাখা আবু হোরায়রা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারনর রশিদ প্রমুখ।