হাসিবুর রহমান, পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি:পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় আব্দুর রহমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় মোসাম্মৎ কলি বেগম নামে এক গর্ভবর্তী নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার এ ঘটনায় নেছারাবাদ থানায় মৃত মোসাম্মৎ কলি বেগমের স্বামী নূরে আলম একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো- আব্দুর রহমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা: মানবিক সরকার, ক্লিনিকের নার্স মোসা. শরিফা, নার্স মোসা. ইয়াসমিন এবং ক্লিনিক অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার মোসা. উম্মে সালমা ।
নিহত মোসাম্মৎ কলি বেগম (২১) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানীয়া এলাকার নূরে আলমে শেখের মেয়ে।
মৃত মোসাম্মৎ কলি বেগমের স্বামী নূরে আলম শেখ অভিযোগ করে জানান, তার গর্ভবতী স্ত্রী মোসাম্মৎ কলি বেগম রোববার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য নেছারাবাদ উপজেলায় আব্দুর রহমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। পরে চিকিৎসক সন্ধ্যার পরে তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পরপরই সে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ সময় নার্সের কাছে স্ত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে নার্স জানায়, আপনার স্ত্রী খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারপর অনেক সময় অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকলে আমি ও আমার আত্মীয়-স্বজনরা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে দেখতে পাই স্ত্রী অপারেশন থিয়েটারের বেডে একা আছে। তখন তৎক্ষণাত স্ত্রীকে ওই ক্লিনিক থেকে উদ্ধার করে নেছারবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রী ও গর্ভে থাকা শিশু-সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আব্দুর রহমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন রোগী অপারেশন করতে গিয়ে মারা গেছে খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ পাঠাই। মোসাম্মৎ কলি বেগম নামে একজনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলায় ১জন ডাক্তার ও ৩ জন নার্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।