মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বগুড়া-নওগাঁ সড়ক কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করলেও স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের আশ্বাসে তারা ক্লাসে ফিরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কলেজে মিজানুর ইংরেজি বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হলেও বিগত চার মাস ধরে তিনি কলেজে আসেন না। এক পর্যায়ে কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করে পলাশ নামে এক শিক্ষককে অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেওয়ার জন্য নিয়োগ দেন। পলাশ এক মাস ধরে ক্লাস নিচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার চার মাস পরে হঠাৎ কলেজে আসেন মিজানুর। এসেই পলাশকে ক্লাস নিতে দেখে ক্ষুব্ধ হন এবং ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। পরে পলাশ ক্লাস থেকে বের না হলে মিজানুরসহ বহিরাগত কয়েকজন মিলে তাকে শিক্ষার্থীদের সামনেই মারধর করেন। আহত পলাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জাহিদুর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, এক শিক্ষকের হাতে আরেক শিক্ষকের মারধরের ঘটনা লজ্জাজনক। তবে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠান থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।