শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

মুন্সীগঞ্জে প্রস্তুত যথেষ্ট কোরবানির পশু, থাকবে না সংকট

রিপোর্টার নাম:
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
  • ৮০ বার পঠিত:

 

মোঃ সাইফুল ইসলাম,মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে এবার যথেষ্ট পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যা জেলার কোরবানির পশুর চাহিদার তুলনায় বেশি । তাই হাটে এবার পশুর সংকট না থাকার আশা করছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর । আশা করা হচ্ছে প্রায় দুই হাজার পশু এবার উদ্বৃত্ত থেকে যাবে । জেলার বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাটগুলো ইজারা দেওয়া হলেও এখনো হাটে পশু তেমন উঠেনি । তবে, পোস্টার এবং মাইকের মাধ্যমে হাটের জমকালো প্রচারণা চলছে, আজ কালের ভেতরেই হাট জমে উঠবে বলে ধারণা করা যায় ।

 

যুগের ক্রমবিকাশে কোরবানির কেনাকাটায়ও এসেছে পরিবর্তন । অনলাইনে পশু কেনাবেচার খবরও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে । বর্তমানে অনেক ক্রেতা হাটে যাওয়ার ঝামেলা এড়াতে পশু কিনতে খামারকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন । খামারগুলোতে কেজি হিসাবে (লাইভ ওয়েট) পশু কিনতে হয় । তবে গোখাদ্যের দাম ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় এবার পশুর দামেও পড়েছে এর প্রভাব । লৌহজংয়ের সাতঘড়িয়ার ডাচ ডেইরি লিমিটেড খামারটি ঘুরে দেখা যায়, এবারের কোরবানির ঈদ কে লক্ষ্য করে সেখানে বিশাল টিনশেডের নিচে সারি সারি বিভিন্ন ওজনের দেশি বিদেশি প্রজাতির পশু বাঁধা আছে ।

 

প্রতিটি পশুর কানে লাগানো হয়েছে একটি করে ট্যাগ । বেশ কয়েকটি পশুর শেডে লেখা রয়েছে সোল্ড আউড, অর্থাৎ এ পশুগুলো ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে । ক্রেতারা এসে কিছু টাকা জমা দিয়ে এগুলো বুকিং দিয়ে গেছেন । ঈদের আগে এগুলোর ওজন মেপে বাকি টাকা পরিশোধ করে পশু নিয়ে যাবেন ।

 

ডাচ ডেইরি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুর রহমান রিপন জানান, এবার কোরবানির জন্য তাদের প্রায় সাড়ে চারশত পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে । গরু, ছাগল, মহিষ এমনকি দুম্বাও রয়েছে তাদের খামারে । তবে পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে টিকে থাকা কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি । এখানে ২০০ থেকে ৩০০ কেজি ওজনের গরু ৫২০ টাকা কেজি দরে, ৩০০ থেকে ৫০০ কেজির গরু ৫৫০ টাকা আর ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত গরু বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি দরে । এর চেয়ে বেশি ওজনের পশু দরদাম করে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যায় ।

নিউট্রি ফ্রেশ ডেইরি ফার্মের কর্ণধার আব্দুর রশিদ সিকদার বলেন, বর্তমানে পশুখাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে পশুপালন করে লাভ করা আগের তুলনায় কষ্টসাধ্য । যদি ভারত বা মিয়ানমার থেকে গরু আসে, তবে তা খামারিদের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়াবে বলে জানান তিনি ।

সিরাজদিখানের বাসাইল ইউনিয়নের সালমান অ্যান্ড ডেইরি ফার্মের মালিক মেহেদী হাসান সজিব জানান, তার খামারে এবার ৫০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে । গোয়ালখালী এলাকার এম এইচ এগ্রো ফার্মেও প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় শ খানেক পশু । শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন অনেক উদ্যোক্তা, তবে গোখাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে বিক্রি করে লাভ হবে কি না, সেই চিন্তায় আছেন অনেক উদ্যোক্তা খামারী ।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র জানান, মুন্সীগঞ্জে পশু মোটাতাজাকরণের খামার ছোট বড় মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৯৯৯ টি । এবার কোরবানির জন্য জেলায় মোট ৪১টি পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে । তিনি বলেন, জেলায় এ বছর পশুর উৎপাদন বেশি হয়েছে । এবার জেলায় মোট পশুর উৎপাদন হয়েছে এক লাখ ১৭ হাজার ৪৫৩ টি, সেক্ষেত্রে জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় দুই হাজার পশু উদ্বৃত্ত রয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2022  A2zbarta.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com