মোঃ মুরাদ হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-আজ ১৭ মার্চ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। দিনটিকে যথাযথ ভাবে মর্যাদা দিতে দিনটি “জাতীয় শিশু দিবস” হিসেবে পালণ করা হয়। ১৯২০ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুত্ফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। পিতা-মাতার চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। খোকা নামের সেই শিশুটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির ভ্রাতা ও মুক্তির দিশারী। রাজনৈতিক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু’র অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
এ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়,বঙ্গবন্ধু’র ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় শার্শা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু’র ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে শিশুদের সাথে নিয়ে কেক কেটে শুভ জন্মদিনের সূচনা ঘটান ৮৫,যশোর-১ শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। পরে পরিষদ প্রাঙ্গণের অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় অংশ নেন,শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি-বীরমুক্তি যোদ্ধা মোঃ সিরাজুল হক মঞ্জু,শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার-নারায়ন চন্দ্র পাল,ফারজানা ইসলাম,সহকারী কমিশনার(ভূমি), যশোর জেলা পরিষদ সদস্য(শার্শা) সালেহ আহম্মেদ মিন্টু,
শার্শা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান- আলেয়া ফেরদৌস,পুলিশের এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান,নাভারণ সার্কেল,যশোর। শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আকিকুল ইসলাম,বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন-অমিত কুমার দাস,এমপি’র পিএ-আসাদুজ্জামান আসাদ,১০নং শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান-মোঃ কবির উদ্দিন আহম্মেদ তোতা,শার্শা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক-সোহরাব হোসেন,শার্শা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার-মোজাফ্ফর হোসেন,শার্শা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা-আব্দুল্লাহ আল রাসেল(ভারপ্রাপ্ত),ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সহ শার্শা আ.লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতা-নেতৃবৃন্দ।
আলোচনায় বঙ্গবন্ধু’র স্মৃতি চারণ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এমপি শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, “বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক, বাংলাদেশকে জানতে হলে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে”।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নানামূখি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বিকাশ ঘটেছে বাঙালি জাতিসত্তার, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই নয়, তিনি ছিলেন বিশ্বের সকল নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির অগ্রনায়ক। তাইতো, তার উন্নয়নের পথযাত্রা রোধ করতে ষড়যন্ত্রের হাত বেছে নেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসররা,, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাকে তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়।