শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বেনাপোল-খুলনা রুটের ট্রেন “বেতনা এক্সপ্রেস”এ জন দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত শালিণ্য এর ৩৩ তম গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হলো প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর সাংবাদিকদের সাথে ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ এর মতবিনিময় উলিপুরে থেতরাই ইউপির চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত পঞ্চপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের চার তলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন গভীর রাতে অসহায় এবং ক্ষুদার্থ মানুষকে খাবার বিতরণ ঝালকাঠি মিনি পার্কে অনুষ্ঠিত হলো ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং নির্ণয় পিরোজপুরে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল উলিপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোটর চুরি থানায় অভিযোগ

যথাযোগ্য মর্যাদায় শার্শায় জাতীয় শোক দিবস উদযাপণ

রিপোর্টার নাম:
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ৭০ বার পঠিত:

মোঃ মুরাদ হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-আজ ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যরা। মর্মান্তিক এই হত্যাযজ্ঞ বিশ্বের কোথাও এমনটি দেখা যায় না। আজ সরকারী ছুটির দিন।

দিবসটি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বঙ্গবন্ধু’র হাতে গড়া ঐতিহাসিক রাজনৈতিকদল “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ” ও তার অঙ্গ সংগঠন সমূহ। সমগ্র দেশের ন্যায় যশোর জেলার শার্শা উপজেলাতে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। সরকারি প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে শোক র‍্যালি,আলোচনা সভা,শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্গণ প্রতিযোগীতা,শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং কাঙ্গালী ভোজ।

মঙ্গলবার(১৫ আগষ্ট) এ উপলক্ষে ৮৫,যশোর-১শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন শার্শা এবং বেনাপোল বন্দর এলাকায় বেশ কয়েকটি শোক সভায় অংশ নেন।

এ সকল শোক সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ আফিল উদ্দিন বলেন,” জাতির এই শোক’কে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে হবে। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্রকে হত্যা করতেই পাপিষ্ঠ সেনাসদস্যরা এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল,শুধু তাই নয়,আওয়ামীলীগের মত একটি শক্তিশালী সংগঠনকে নিশ্চিন্ন করতে চেয়েছিল,কিন্তু সেই দুরভিসন্ধি ষড়যন্ত্র কে দিনে দিনে প্রতিহত করে চলেছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পিতার সকল আদর্শ বুকে নিয়ে দেশকে আজ উন্নয়নের দিকে প্রবাহিত করে চলেছেন”।

“আশ্রয়হীনদের আশ্রয়, ভূমিহীনদের ভূমি, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, বাসস্থান, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার। অন্ধকারাচ্ছন্ন দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে আলোকিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশে রুপান্তর করেছে। শত ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু নির্মান করে বিশ্বকে বাংলাদেশের সক্ষমতা জানিয়েছে আ.লীগ”।

“উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আ.লীগকে জয়ী করবার জন্য শোক সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। বিএনপি’র কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, “২০০১-২০০৬ ইং সনের সেই অত্যাচারী বিএনপি-জামাতের আগুন তান্ডপ শার্শার মানুষ আর দেখতে চাই না। মানুষ উন্নয়ন দেখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন,এই উন্নায়ন বাংলাদেশের উন্নয়ন, এই উন্নয়ন আপনার আমার, এই উন্নয়ন আমাদেরই ধরে রাখতে হবে। বিএনপি কে প্রতিহত করতে আমাদের কে এগিয়ে আসতে হবে আমরা যদি এগিয়ে না আসি তাহলে আমাদের এ উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে,দেশ পিছিয়ে যাবে। আওয়ামীলীগ সরকার জনবান্ধব ও উন্নয়নমূখী সরকার। তাই জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখী আওয়ামীলীগ সরকারকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান”।

হত্যাযজ্ঞের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ- ১৯৭৫ সালের এই নারকীয় ঘটনা সম্পর্ক যতটুকু জানা যায়,সেদিন ঐ হত্যাযজ্ঞে ডজন সংখ্যক সামরিক অফিসার ও ১৭০ থেকে ৭০০ জন সাধারণ সৈনিকের উপস্থিতি থাকার কথা শোনা যায়। হত্যাযজ্ঞে প্রথমসারীর নেতৃত্বে ছিলেন যারা-কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান,কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ,মেজর কে.এম মহিউদ্দিন আহমেদ,লে. কর্নেল শরীফুল হক ডালিম,মেজর আজিজ পাশা,মেজর বজলুল হুদা,লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান,মেজর রাশেদ চৌধুরী,মেজর নূর চৌধুরী,মেজর শরিফুল হোসেন,লে. কিসমত হাসেম,লে.খায়রুজ্জামান,লে. নাজমুল হোসেন এবং
ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ।

ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ীতে নৃশংস ঐ হত্যাযজ্ঞে যারা নিহত এবং আহত হন-শেখ মুজিবুর রহমান(জাতির জনক), শেখ আবু নাসের, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, সুলতানা কামাল খুকী, শেখ জামাল, পারভীন জামাল রোজী, শেখ রাসেল।গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন-শেখ ফজলুল হক মনি, বেগম আরজু মনি।

সেরনিয়াবাতের বাড়ি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন- আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, বেবী সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, নাঈম খান রিন্টু, পোটকা (গৃহভৃত্য), লক্ষীর মা (গৃহভৃত্য)

শেরশাহ সুরী রোডের ৮ ও ৯ নং বাড়ি এবং শাহজাহান রোডের ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বাড়ি (মর্টারের গোলার আঘাতে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে নিহত): রেজিয়া বেগম, নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম, আনোয়ারা বেগম (২), ময়ফুল বিবি, সাবেরা বেগম, আবদুল্লাহ, রফিকুল, সাফিয়া খাতুন, শাহাবুদ্দিন, কাশেদা, আমিনউদ্দিন, হনুফা বিবি।

আহত হন ৫ জন,এরা হলেন বেগম আবদুর রব সেরনিয়াবাত বেগম আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ
বিউটি সেরনিয়াবাত, আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ও
হেনা সেরনিয়াবাত।

অন্যরা হলেন- সিদ্দিকুর রহমান (পুলিশ কর্মকর্তা), সামছুল হক (পুলিশ কর্মকর্তা), কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ (তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান।)

বঙ্গবন্ধু’র জ্যেষ্ঠ কণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কণ্যা শেখ রেহেনা বিদেশে অবস্থান করায়,তারা প্রাণে বেঁচে যান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2022  A2zbarta.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com