ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নে ৩২ নং ওয়ার্ড ঢাকা মহানগর,ছাত্রলীগ নেতা, মোঃ ইলিয়াস মুন্সী ২০২১ সালের ৪ই মে তার বান্ধবীকে নিয়ে গাড়িতে তুলে দিতে বাসস্ট্যান্ডে দিলে তাকে জোরপূর্বক ভাবেই বাধা দেওয়া হয়, এবং মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
বাসায় নিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইলিয়াস মুন্সী কে হুমকি দেওয়া হয়,বিয়ে করার জন্য এবং মেয়ে কেউ নানান রকম ভয় ভীতি দেখানো হয়, এবং কোনো উপায় না পেয়ে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিয়ের জন্য রাজি হয়। ছেলে এবং মেয়ে দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকায়,তাদের কোন কাজী বিয়ে দিতে রাজি হয় না, ৫,মে ২০২১ অবশেষে এক কাজীর কে বেশী টাকা লোভ দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বোঝানো হয় বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এই বিয়েতে ছেলে এবং মেয়ে কারোরই পুরাপুরি সম্মতি ছিল না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে একই পরিবারের রাজনীতিক সূত্রের কারণে তার সঙ্গে এরকম করা হয়েছে,এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাকে কোন ধরনের ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম বা দলীয় মিটিংয়ে থাকার কারণে তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছে তার চাচাতো ভাই ভাতিজা।
তারপরও তার মনের তীব্র ইচ্ছা ও শক্তি দিয়ে সবকিছু বিজয় করেছে। অবশেষে এই মিথ্যা বিয়ের হাত থেকে রক্ষার কারণে। ঢাকা শিশু হসপিটালে চাকরি শুরু করে ছাত্রলীগ নেতা,এবং মেয়েকে তার বাবা-মায়ের কাছে রেখে আসে। দীর্ঘ সাত মাস পর জানা যায় মেয়েটি এপেন্ডিসাইড রোগে আক্রান্ত,এবং তাকে ছাত্রলীগ নেতা যখন বলে অপারেশন করে দেওয়ার কথা তখন সে রাজি হয় না,তার এক মাসের মধ্যেই হঠাৎ খবর আসে সে খুবই অসুস্থ হসপিটালে ভর্তি, যখন ছাত্রলীগ নেতা ছুটে যায়, তখন পরিবারের লোক তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় না, ২৪ ঘন্টা আইসিইউ সাপোর্টে থাকার পর, ডাক্তার ২৩ শে জুন ২০২২ মৃত বলে ঘোষণা করেন, এবং ডাক্তার জানান হসপিটালে আনার তিন ঘন্টা আগেই তার অ্যাপেন্ডি সাইট বাস্ট হয়ে যায়, এবং ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াসের শত্রুরা এখনো মনে করেন, মেয়ে জীবিত রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার কোন সন্ধান বা দেখা মেলেনি দীর্ঘ এক বছর, তাদেরকে মৃত্যুর ছাড়পত্র দেখানোর পরেও তাদের মন সাড়া দিচ্ছে না।