রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: বর্ণাট্য আয়োজন ও জাগ জমকপূর্ণ ভাবে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই দিন ব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় ভিন্ন ভাবে সেজেছিল রাজিবপুরের প্রাণ কেন্দ্রের এই বিদ্যাপীঠ। এমন আয়োজনে মুগ্ধ স্কুলটির শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা। অভিভাবকরা বলছেন, এমন আয়োজন সত্যি আমাদের মুগ্ধ করেছে। করোনার কারণে দীর্ঘ দিন ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত ছিলো। স্কুলের এমন আয়োজনে ছেলে মেয়েদের নতুন করে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পাবে। খেলাধুলা করলে বাচ্চাদের মনমানসিকতা ভালো থাকবে পড়াশোনায় মন বসাতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) শেষ দিনে বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন করা হয়।
এর আগে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকালে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি ।উদ্বোধনকালে তিনি বলেন,রাজিবপুরের প্রাণ এই বিদ্যালয়। এখানে আমার নানা স্মৃতি জড়িয়ে আছে।এই বিদ্যালয়টি তখন থেকেই অনেক সুনাম অর্জন করে আসছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত চক্রবর্তী, রাজিবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আতাউর রহমান, বিদ্যালয় থেকে দুইবারের রাজশাহী বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার, রৌমারী উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হুরায়রা, রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুকুল, একাডেমি সুপারভাইজার গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সভাপতির বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন স্কুলটির অতিত ও বর্তমানে বিভিন্ন অর্জনের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন,এই স্কুলটি রাজিবপুরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে, সেই সময় থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সব সময় অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন পুরুষ্কার অর্জন করে আসছে। সেই সময় আব্দুল হাই সরকার এই স্কুল থেকে রাজশাহী বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন পরপর দুইবার। এরকম আমাদের অসংখ্য অর্জন রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এমন আয়োজন করেছি। তিনি প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, দুঃখের সাথে বলতে হয়। আমার এই স্কুল মাঠে ছয়মাস জলাবদ্ধতা থাকে। ড্রেনেজ এর কোনো ব্যবস্থা নেই, বৃষ্টি এলে পানি আটকে থাকে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারে না। আমি মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনি একটু বিষয়টি দেখবেন। পরে বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী আমলে নিয়ে আশ্বাসস্থ করেছেন।