লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
রৌমারী সদর ইউনিয়নের সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর চাল ন্যায্য মুল্যে
বিতরণের জন্য সরকারী গোডাউন থেকে ১০০০ কেজি চাল সংগ্রহ করে। আর তা ২০০
নামের চাল দেড় ঘন্টায় বিতরণে নয়ছয় করায় ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
উঠেছে সাধারণ মানুষদের। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় রিফাত কাউন্টার সংলগ্ন স্থানে
এ ঘটনা ঘটে। চাল নিতে আসা সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ডিলার আশরাফুল ইসলাম
বাবুল তার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সকাল ৮ টায় ১০০০ কেজি চাল উত্তোলন করে রিফাত
কাউন্টার সংলগ্ন স্থানে গোডাউন ঘরে নিয়ে যায়। প্রতি দিনের ন্যায় সেখান থেকে
চাল বিতরণ করছিলেন। ওএমএস এর চাল সাধারণ মানুষের মাঝে সঠিক ভাবে বিতরণ না
করে নিয়মনীতি ভঙ্গ করে সাড়ে ৮ টায় বিতরণ শুরু করে সাড়ে ১০ টায় বিতরণ শেষ করা হয়।
মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যে চাল দেয়া শেষ হয়েছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ডিলার
আশরাফুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে। এহেন ঘটনা চাল না পাওয়া সুবিধাভোগীরা সাংবাদিকদের জানানো হলে
সাংবাদিকদ্বয় ঘটনা স্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ)
এবিএম সরোয়ার রাব্বিকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার
তার প্রতিনিধি ওয়েজ এরশাদুল ইসলামকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন এবং ডিলারকে
ডেকে অফিস কার্যালয়ে আনতে বলা হয়। চাল না পাওয়া সাধারণ মানুষ জন্তির কান্দা গ্রামের জমিলা খাতুন, আয়শা বেগম, রহিমা
খাতুনসহ অনেকেই বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ। প্রায়দিন চাল কিনে খেতে হয়। সরকার
ন্যায্য মুলে ডিলারের মাধ্যমে চাল বিতরণ করার জন্য দিয়েছেন। তারা কয়েকজনকে চাল
বিতরণ করে বলেন চাল শেষ হয়ে গেছে।এবিষয়ে ডিলার আশরাফুল ইসলাম বলেন, মানুষের অনেক ভিড় ছিল। প্রতিনামে ৫ কেজি
করে চাল। ভিরের কারণে ৩০ কেজি চালের বস্তা ৬ জন করে এক বস্তা চাল দেয়া হয়েছে। এজন্য
তারা তারি চাল দেয়া শেষ হয়েছে।উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা শহিদুল্যাহ বলেন, ওএমএসএর ডিলার আশরাফুল ইসলাম
সকাল ৮ টায় ডিও সই করে ১০০০ কেজি চাল সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য নিয়ে
যায়। পরে সে চাল বিতরণে কি করেছে আমার জানা নাই।উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সরোয়ার রাব্বি বলেন, ওএমএস ডিলার শহিদুল
ইসলাম দেড় ঘন্টায় চাল বিতরণ শেষ করেছে। এঘটনা করা তার ঠিক হয় নি। তবে এবারের
মতো সর্তক করে দেয়া হয়েছে।