লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শৌলমারী ইউনিয়নের মোল্লারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাইদুর রহমান বাদী হয়ে রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উভয় পক্ষের আহতরা হলেন, মোন্তাজ আলী (৫৫) পিতা মৃত আহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) পিতা মোন্নাফ আলী, সাইদুর মিয়া (৩০) পিতা মোন্তাজ আলী, সমেশ উদ্দিন (৮৫) পিতা মৃত আহাম্মদ আলী, আব্দুল বারেক (৭০) পিতা আছিম উদ্দিন, ইয়াদ আলী (৫৫) পিতা সমেশ উদ্দিন।অভিযোগে জানা যায়, শৌলমারী মৌজার নিম্নে তফসিল বর্ণিত সাবেক দাগ ৪৮৭২,হাল দাগের ৮৮৪০, ১৯৬২ সালে রেকোর্ড মূলে শৌলমারী গ্রামের কসব উদ্দিন মোল্লা মৃতকেফাতুল্লা মোল্লা ও দিদার হোসেন মোল্লা পিতা মৃত ত য়নুদ্দিন মোল্লার কাছে আহাম্মদ আলী পিতা মৃত হাসেন আলী ৭৪ শতক জমি ক্রয় করে। ৭৪ শতাংশ জমির মধ্যে দিয়ারার রেকোর্ডে ৩৩ শতাংশ জমি ১ নং খাস খতিয়ানে যায়। সু-কৌশলে ১০ ভাই বোনদের না শরিক করে একাই ৩৩ শতক জমি শৌলমারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এ জমি বন্দবস্ত করে নেন। ৩৩ শতক বন্দবস্তকৃত জমির মধ্যে ১৮ শতাংশ জমির উপর সমেশের বাড়ি বাস্ত ও ১৫ শতক জমি বাঁশ ঝার মোন্তাজ আলী গংদের দখলেরয়েছে। মোন্তাজ আলীর দখলকৃত জমিতে বাঁশ দ্বারা বেড়া দিয়ে দখলে রাখলে সমেশের পক্ষ তাবেড়া উঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে আজ সকাল ১০ ঘটিকায় সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটা কাটির এক পযার্য়ে সমেশ গংরা লাঠি শোঠা, দা, কুড়ালসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রসস্ত্রসহ আক্রমন করে আহত করেছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, গুরুতর আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এ ৩৩ শতক জমির উপর কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ আদালতে অধিকার আদায়ে অবৈধ ভাবে নেয়া বন্দবস্ত বাতিলের জন্য অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে ভাই শুকুর আলী বলেন, আমার বাবার ৭৪ শতক জমির মধ্যে ৩৩ শতক জমি ১ নং খাশ খতিয়ানে যাওয়ার পর বড় ভাই সকলকে বাদ দিয়ে একাই সু-কৌশলে ভুমি কর্মকর্তাদের যোগসাজসে বন্দবস্ত করে নেন। এবিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে বন্দবস্ত বাতিলের জন্য মামলা করা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার আমাদের ভোগদখলীয় জমির বাঁশ ঝাড় রাতারাতি কেটে টিনেরছাপড়া ঘর নির্মান করে। এমতাবস্থায় বাধাদিলে বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষের এক পযার্য়ে বিবাদি পক্ষের লোকজন ঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। এবিষয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি পুলিশ পরিদর্শক আনছার আলীকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান,
দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।