হেলাল হোসেন কবির: লালমনিরহাট বাসমালিক সমিতিকে না জানিয়ে অবৈধভাবে একটি বাস চলাচল-কে কেন্দ্র করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর এবিষয়ে ছাত্রলীগের মহড়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বুধবার (১৬ মার্চ) রাতে লাব্বাইক এক্সপ্রেসের ব্যনারে “ঢাকা মেট্রো-ব ১৯-০০৪৭” একটি বাস পাটগ্রাম হতে লালমনিরহাট হয়ে নারায়নগঞ্জে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে লালমনিরহাট শহরের পুলিশ লাইন্সের সামনে শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন গাড়ি আটক দেন। সেখানে রবিন হোসেন বাপ্পির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মীরা শ্রমিক ইউনিয়নের বিপক্ষে অবস্থান নেন। পরিবেশ যাতে অন্যদিকে মোড় না নেয় সেজন্য ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুর কাদের ও লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ বাহিনী পাশের ট্রাফিক বক্সে বসে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুর কাদের সাংবাদিকদের বলেন যেহেতু গাড়িতে যাত্রী রয়েছে ভোগান্তি এড়াতে গাড়িকে যেতে দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি যেহেতু বাস মালিক সমিতির ব্যাপার তাই তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
এবিষয়ে বেশ কিছু শ্রমিক নেতা বলেন বাপ্পি নীতিভূষ্ঠা শ্রমিক তাই ছাত্রলীগের কিছু ব্যক্তিকে ব্যবহার করে নিজের কার্য হাসিলের চেষ্টা করে। বাস মালিক সমিতির নির্দেশে আমরা গাড়িটি আটক দেই।
লালমনিরহাট জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন জেলায় কোন নতুন বাস চলাচল করতে হলে তা বাস মালিক সমিতির সাথে আলোচনা করে চালাতে হয়। আলোচনার সীদ্ধান্ত অনুযায়ী গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু সেই আলোচনা না করে হঠাৎ একটি নতুন গাড়ি নামানো হলো এবং বাস মালিক সমিতির কাজে ছাত্রলীগ আসলো কেমনে।
জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে বলা হয় বাস মালিক সমিতি বা শ্রমিক ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কেউ যদি যেয়ে থাকে সেই দায় ব্যাক্তিকে নিতে হবে। সংগঠন এই দায় নিবেনা।
রবিন হোসেন বাপ্পি বলেন, যে গাড়িটি লালমনিরহাটে নামানো হয়েছে তার ঢাকা থেকে রোড পরমিট রয়েছে।